তীব্র গরমের মুখোমুখি ঝুঁকিপূর্ণ অসুস্থতা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা
তীব্র গরম শুধুমাত্র অস্বস্তিকরই নয়, বরং গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক এবং ত্বকের সমস্যা সহ বিভিন্ন অসুস্থতার কারণ হতে পারে। এই অসুস্থতাগুলি শিশু, বৃদ্ধ এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে বিপজ্জনক হতে পারে।
ডিহাইড্রেশন হলো শরীরে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি। তৃষ্ণার্ত বোধ করা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, শুষ্ক মুখ ও ত্বক, কম প্রস্রাব করা এর লক্ষণ। গুরুতর ডিহাইড্রেশন মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
হিট স্ট্রোক হলো শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। উচ্চ জ্বর (104°F বা তার বেশি), মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি, বমি বমি ভাব, বমি, পেশীতে টান, দ্রুত শ্বাস এর লক্ষণ। হিট স্ট্রোক জরুরী চিকিৎসা প্রয়োজন এবং দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
তীব্র গরমে ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা যায়। সানবার্ন, ত্বকের ফোলাভাব, ঘামাচি, র্যাশ এর মধ্যে রয়েছে। গুরুতর ত্বকের সমস্যা চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে:
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: দিনের বেলা নিয়মিত পানি পান করুন, এমনকি যদি আপনি তৃষ্ণার্ত বোধ না করেন। ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় পান করতে পারেন।
- ঠান্ডা থাকুন: ঠান্ডা বা ঠান্ডা জলের ঝরনা বা স্নান করুন। ঠান্ডা পানি পান করুন। এয়ার কন্ডিশনার বা ফ্যান ব্যবহার করুন। ছায়ায় থাকুন এবং সরাসরি সূর্যের আলো এড়িয়ে চলুন।
- হালকা পোশাক পরুন: ঢিলেঢালা, হালকা রঙের সুতির পোশাক পরুন।
- ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন: ভারী খাবার হজম করতে শরীরের বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যা আপনাকে গরম করে তুলতে পারে। ফল, শাকসবজি এবং সালাদ সহ হালকা খাবার খান।
- বাইরে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন: গরমের দিনের সবচেয়ে গরম সময় (দুপুর 12 টা থেকে 4 টার মধ্যে) বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
তীব্র গরমে হতে পারে এমন কিছু অসুখ:
- ডিহাইড্রেশন: পানিশূন্যতা হলো শরীরে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি। এটি তীব্র গরমের একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে তৃষ্ণার্ত বোধ করা, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, শুষ্ক মুখ ও ত্বক, কম প্রস্রাব করা, দ্রুত হৃদস্পন্দন এবং দুর্বলতা।
- হিট স্ট্রোক: হিট স্ট্রোক হলো শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এটি একটি জরুরী অবস্থা যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর (104°F বা তার বেশি), মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি, বমি বমি ভাব, বমি, পেশীতে টান, দ্রুত শ্বাস এবং চেতনা হারানো।
- ত্বকের সমস্যা: তীব্র গরমে সানবার্ন, ত্বকের ফোলাভাব, ঘামাচি এবং র্যাশ হতে পারে।
- অন্যান্য সমস্যা: গরমের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, খাদ্যের ঘাটতি এবং জলবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে কিছু টিপস:
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: দিনের বেলা নিয়মিত পানি পান করুন, এমনকি যদি আপনি তৃষ্ণার্ত বোধ না করেন। পানিশূন্যতা রোধ করতে ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয়, যেমন স্পোর্টস ড্রিঙ্ক বা নারকেলের জল পান করতে পারেন।
- ঠান্ডা থাকুন: ঠান্ডা বা ঠান্ডা জলের ঝরনা বা স্নান করুন। ঠান্ডা পানি পান করুন। এয়ার কন্ডিশনার বা ফ্যান ব্যবহার করুন। ছায়ায় থাকুন এবং সরাসরি সূর্যের আলো এড়িয়ে চলুন।
- হালকা পোশাক পরুন: ঢিলেঢালা, হালকা রঙের সুতির পোশাক পরুন।
- ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন: ভারী খাবার হজম করতে শরীরের বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যা আপনাকে গরম করে তুলতে পারে। ফল, শাকসবজি এবং সালাদ সহ হালকা খাবার খান।
- বাইরে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন: গরমের দিনের সবচেয়ে গরম সময় (দুপুর 12 টা থেকে 4 টার মধ্যে) বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। যদি বাইরে যেতে হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি সাথে রাখুন এবং ঘন ঘন বিরতি নিন।
- বিশেষ জনগোষ্ঠীর যত্ন নিন: শিশু, বৃদ্ধ এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থ ব্যক্তিরা তীব্র গরমের প্রতি বেশি সংবেদনশীল। তাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পন কার ।