পিত্তথলির পাথর কী? হলে কী করবেন? প্রতিরোধের উপায় কী? 

পিত্তথলির পাথর হলো পিত্তথলি নামক একটি ছোট অঙ্গে তৈরি শক্ত জমা। পিত্তথলি লিভারের নিচে অবস্থিত এবং এটি হজমে সাহায্য করার জন্য লিভার থেকে তৈরি পিত্তরস সংরক্ষণ করে।

পিত্তথলির পাথর


পিত্তথলির পাথররে উপসর্গ:

  • شديدة পেটব্যথা, বিশেষ করে ডান দিকে উপরের অংশে বা কাঁধের নিচে
  • বমি বমি ভাব এবং বমি
  • জ্বর
  • ঠান্ডা লাগা
  • পেটে ফোলাভাব
  • হলুদ ত্বক ও চোখ (জন্ডিস)

পিত্তথলির পাথরের উল্লেখযোগ্য দিক:

  • পেটব্যথা সাধারণত খাওয়ার পরে ঘটে, বিশেষ করে যদি খাবারে চর্বি বেশি থাকে।
  • ব্যথা কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হতে পারে এবং তীব্র হতে পারে।
  • জ্বর এবং ঠান্ডা লাগা থাকলে এটি একটি সংক্রমণের ইঙ্গিত হতে পারে।
  • জন্ডিস হলো পিত্তনালীতে বাধার একটি লক্ষণ যা পিত্তরসকে রক্তে প্রবেশ করতে দেয়।

পিত্তথলির পাথরের কারণ:

  • পিত্তরসে অস্বাভাবিকতা:
    • উচ্চ কোলেস্টেরল: পিত্তরসে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল পিত্তথলির পাথরের প্রধান কারণ।
    • অতিরিক্ত বিলিরুবিন: কিছু লিভারের রোগের ফলে অতিরিক্ত বিলিরুবিন তৈরি হতে পারে, যা পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • পিত্তথলির গতিশীলতা হ্রাস:
    • পিত্তথলি পুরোপুরি খালি না হলে: পিত্তথলি পুরোপুরি খালি না হলে, পিত্তরস ঘনীভূত হতে পারে এবং পাথর তৈরি হতে পারে।
  • অন্যান্য ঝুঁকির কারণ:
    • মোটা হওয়া: স্থূলতা পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে।
    • দ্রুত ওজন কমানো: দ্রুত ওজন কমানোর ফলে পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি বাড়ে।
    • গর্ভাবস্থা: গর্ভবতী মহিলাদের পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি বেশি থাকে।
    • কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন জন্ম নিয়ন্ত্রণের ঔষধ, পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
    • পরিবারে ইতিহাস: যদি আপনার পরিবারে পিত্তথলির পাথরের ইতিহাস থাকে তবে আপনার ঝুঁকিও বেশি।

পিত্তথলির পাথরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা:

  • আপনার ডাক্তার আপনার উপসর্গ এবং চিকিৎসা ইতিহাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন।
  • তারা আপনার পেট পরীক্ষা করবেন।
  • পিত্তথলির পাথর নির্ণয় করতে তারা নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি বা একাধিক করতে পারেন:


পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধের উপায়

কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আপনি পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি কমাতে পারেন:

  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: আপনার যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান:
    • চর্বিযুক্ত খাবার, বিশেষ করে প্রাণীজ উৎসের চর্বি, কম খান।
    • ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য বেশি খান।
    • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন ওটমিল, বাদাম এবং বীজ।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: সপ্তাহে বেশিরভাগ দিন কমপক্ষে 30 মিনিট মাঝারি-तीव्रতার ব্যায়াম করুন।
  • আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন: আপনার যদি উচ্চ কোলেস্টেরল থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কীভাবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন সে সম্পর্কে কথা বলুন।
  • মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে রাখুন: আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
  • আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত পরামর্শ করুন: আপনার যদি পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকির কারণ থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত পরামর্শ করুন।

কিছু নির্দিষ্ট খাবার যা পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে:

  • জলপাই তেল: জলপাই তেলে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যা পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাল উৎস, যা পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ফল: फल ফাইবার এবং ভিটামিন সি-এর ভাল উৎস, যা পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • গোটা শস্য: গোটা শস্য ফাইবারের ভাল উৎস, যা পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

মনে রাখবেন:

  • এই তথ্যগুলি কেবলমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে এবং চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়।
  • আপনার যদি পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকির কারণ থাকে বা পিত্তথলির পাথরের উপসর্গ অনুভব করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

Kalam posts

Post a Comment

Previous Post Next Post