যে ১৯ কারণে নামাজ ভেঙে যায়

সালাত নষ্ট হওয়ার অর্থ হলো নামাজের কোনো রুকন বা শর্ত পূরণ না হওয়ার কারণে নামাজটি বাতিল হয়ে যাওয়া। যে ১৯ কারণে নামাজ ভেঙে যায়।

যে ১৯ কারণে নামাজ ভেঙে যায়

ইচ্ছাকৃত কাজ:

  1. নিয়ম ভাঙা: রুকু, সুজুদ, কিয়াম, তসলিম ইত্যাদি রুকনের কোনটি বাদ দিলে বা ভুলভাবে করলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়।
  2. কথা বলা: নামাজে কথা বললে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়। তবে, অল্প কথা বললে বা কাশি, হাঁচি ইত্যাদি প্রয়োজনে কথা বললে নামাজ ভঙ্গ হয় না।
  3. হাসি: নামাজে হাসলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়। তবে, অল্প হাসি হলে নামাজ ভঙ্গ হয় না।
  4. কাউকে অপমান করা: নামাজে কাউকে অপমান করলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়।
  5. কিবলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া: নামাজ অবস্থায় কিবলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়।

অজ্ঞতাবশত কাজ:

  1. নিয়ম ভুল জানা: যদি কেউ কোন নিয়ম ভুল জেনে সেই নিয়ম অনুযায়ী নামাজ আদায় করে, তাহলে তার নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়।
  2. অজ্ঞতাবশত নিয়ম ভাঙা: যদি কেউ অজ্ঞতাবশত কোন নিয়ম ভেঙে ফেলে, তাহলে তার নামাজ ভঙ্গ হয় না। তবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিয়ে ভুল সংশোধন করে নিতে হবে।

অপারগতা:

  1. অসুস্থতা: যদি কেউ এত অসুস্থ থাকে যে সে ঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে না পারে, তাহলে তার নামাজ ভঙ্গ হয় না। সে যতটা পারে নামাজ আদায় করবে।
  2. ভয়: যদি কেউ ভয়ে নামাজ আদায় করতে না পারে, তাহলে তার নামাজ ভঙ্গ হয় না। সে যতটা পারে নামাজ আদায় করবে।

অন্যান্য কারণ:

  1. জানবুঝে নামাজ ত্যাগ করা: যদি কেউ জানবুঝে নামাজ ত্যাগ করে, তাহলে সে গুরুতর অপরাধ করে।
  2. নাপাক অবস্থায় নামাজ আদায় করা: যদি কেউ নাপাক অবস্থায় নামাজ আদায় করে, তাহলে তার নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়।

আরও ৮ টি কারণ:

  1. রুকু বা সুজুদের সময় মাথা না নত করা
  2. সিজদার সময় পেট মাটিতে না লাগানো
  3. কিয়ামের সময় সোজা না দাঁড়ানো
  4. তসলিমের সময় সলাম না দেওয়া
  5. নামাজের মধ্যে কাজ করা
  6. নামাজের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করা
  7. নামাজের মধ্যে ঘুমানো
  8. নামাজের মধ্যে অযু ভঙ্গ হওয়া

মনে রাখতে হবে:

  • নামাজ ভঙ্গ হয়ে গেলে পুনরায় আদায় করতে হবে।
  • নামাজ ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে জেনে নিয়ে ভবিষ্যতে সেই ভুলগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

আরও জানতে:

নামাজ ভঙ্গের কারণ ?

পূর্ববর্তী প্রতিক্রিয়ায় উল্লেখ করা ১৯ টি কারণ ছাড়াও, নামাজ ভঙ্গের আরও কিছু কারণ রয়েছে।

পূর্ববর্তী প্রতিক্রিয়ায় উল্লেখ করা ১৯ টি কারণ ছাড়াও, নামাজ ভঙ্গের আরও কিছু কারণ রয়েছে।

আসুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই:

১. নামাজের ফরজ কাজ বাদ দেওয়া:

  • নামাজের ফরজ কাজগুলো হলো: নিয়্যত, কিয়াম, রুকু, সুজুদ, তসলিম, কিরাত, তাশাহুদ, দোয়া।
  • এই ফরজ কাজগুলোর মধ্যে কোনটি বাদ দিলে বা ভুলভাবে করলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়।

উদাহরণস্বরূপ:

  • নিয়্যত না করে নামাজ শুরু করলে
  • কিয়াম না করেই রুকুতে চলে গেলে
  • সুজুদ না করেই উঠে দাঁড়ালে
  • তসলিম না করেই নামাজ শেষ করে ফেললে
  • কিরাত না পড়ে নামাজ শেষ করে ফেললে
  • তাশাহুদ না পড়ে নামাজ শেষ করে ফেললে
  • দোয়া না পড়ে নামাজ শেষ করে ফেললে

২. নামাজের সুন্নত কাজ বাদ দেওয়া:

  • নামাজের সুন্নত কাজগুলো হলো: নামাজের আগে ওضو (অযু) করা, গোসল করা, মিসওয়াক করা, আতর ব্যবহার করা, কিবলার দিকে মুখ করে দাঁড়ানো, নামাজের শুরুতে তাকবীর বলা, রুকুতে যাওয়ার সময় তাকবীর বলা, সুজুদে যাওয়ার সময় তাকবীর বলা, সুজুদ থেকে উঠে আসার সময় তাসবিহ বলা, রুকু ও সুজুদের মধ্যে তাসবিহ বলা, তাশাহুদের সময় দোয়া পড়া, নামাজ শেষে দোয়া পড়া ইত্যাদি।
  • এই সুন্নত কাজগুলো বাদ দিলে নামাজ ভঙ্গ হয় না। তবে, নামাজের সুন্নত কাজগুলো পালন করলে নামাজের সওয়াব বৃদ্ধি পায়।

৩. নামাজের আদব লঙ্ঘন করা:

  • নামাজের আদব লঙ্ঘন করলেও নামাজ ভঙ্গ হতে পারে।
  • নামাজের কিছু আদব হলো: নামাজের সময় খাওয়া-দাওয়া না করা, কথা না বলা, হাসি না করা, কাউকে অপমান না করা, চারপাশে তাকানো না করা ইত্যাদি।

৪. নামাজের সময় অযু ভঙ্গ হওয়া:

  • নামাজের সময় অযু ভঙ্গ হয়ে গেলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • তবে, অযু ভঙ্গ হয়ে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অযু করে নামাজ পুনরায় শুরু করতে হবে।

মনে রাখতে হবে:

  • নামাজ ভঙ্গ হয়ে গেলে পুনরায় আদায় করতে হবে।
  • নামাজ ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে জেনে নিয়ে ভবিষ্যতে সেই ভুলগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

আরও জানতে:


Post a Comment

Previous Post Next Post