অ্যালার্জি হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া যা সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন পদার্থকে ক্ষতিকারক বলে ভুল করে। এই পদার্থগুলিকে "অ্যালার্জেন" বলা হয়।
অ্যালার্জি কারণ:
- জিনগত প্রবণতা: অ্যালার্জির ঝুঁকি পারিবারিকভাবে চলে আসতে পারে। যদি আপনার পরিবারে অ্যালার্জি থাকে তবে আপনারও অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- পরিবেশগত কারণ:
- অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসা: ধুলো, পোষা প্রাণীর পশম, পরাগরেণু, ছত্রাক, ময়না, কিছু খাবার এবং ওষুধ সহ বিভিন্ন ধরণের অ্যালার্জেন রয়েছে।
- শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ: শৈশবে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার: অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার শরীরের স্বাভাবিক ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে, যা অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
অ্যালার্জি উপসর্গ:
অ্যালার্জির উপসর্গগুলি অ্যালার্জেন এবং ব্যক্তির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণ উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:
- চোখে জ্বালাপোড়া, চুলকানি এবং লালভাব
- নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি এবং নাক বন্ধ হওয়া
- চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং ত্বকের লালভাব
- শ্বাসকষ্ট, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং বুকে চাপ
- পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি
অ্যালার্জি হলে কী করতে পারেন:
- আপনার অ্যালার্জেনগুলি চিহ্নিত করুন: আপনার অ্যালার্জির কারণগুলি জানা হলে, আপনি এড়াতে পারেন। এটি করার জন্য, আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন বা অ্যালার্জি পরীক্ষা করুন।
- অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলুন: যতটা সম্ভব আপনার অ্যালার্জেন এড়াতে চেষ্টা করুন। আপনি যদি আপনার অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসেন তবে, নিম্নলিখিতগুলি করুন:
- আপনার মুখ এবং চোখ ধুয়ে ফেলুন।
- নাक साफ करें।
- কাপড় দিয়ে আপনার মুখ এবং নাক ঢেকে রাখুন।
- ওষুধ গ্রহণ করুন: আপনার ডাক্তার অ্যালার্জির উপসর্গগুলি উপশম করতে অ্যান্টিহিস্টামাইন, ডিকোনজেস্ট্যান্ট, কর্টিকোস্টেরয়েড এবং অন্যান্য ওষুধের পরামর্শ দিতে পারেন।
- ইমিউনোথেরাপি: এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা যা ধীরে ধীরে আপনার শরীরকে অ্যালার্জেনের প্রতি অভ্যস্ত করে তোলে।
অ্যালার্জি প্রতিরোধ:
অ্যালার্জি প্রতিরোধের উপায়:
- শিশুদের ধুলো, পোষা প্রাণীর পশম এবং অন্যান্য অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসতে সীমাবদ্ধ রাখুন: শিশুদের যখন তারা ছোট থাকে তখন অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসা সীমাবদ্ধ করা তাদের ভবিষ্যতে অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। যাইহোক, এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই পদ্ধতিটি সর্বদা কার্যকর হয় না এবং কিছু শিশু এখনও অ্যালার্জি বিকাশ করবে।
- নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করুন: ধুলো এবং অন্যান্য অ্যালার্জেনগুলি দূর করতে নিয়মিত আপনার বাড়ি পরিষ্কার করুন।
- আপনার বাড়িতে আর্দ্রতা কম রাখুন: ছত্রাকের বৃদ্ধি রোধ করতে আপনার বাড়িতে আর্দ্রতা কম রাখুন।
- পোষা প্রাণীদের নিয়মিত গোসল করান: যদি আপনার পোষা প্রাণী থাকে তবে নিয়মিত তাদের গোসল করুন এবং তাদের বিছানা পরিষ্কার রাখুন।
- ধূমপান এড়িয়ে চলুন: ধূমপান শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্য খান: স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।
মনে রাখবেন:
- এই তথ্যগুলি কেবলমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে এবং চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়।
- আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে বা অ্যালার্জি সম্পর্কে প্রশ্ন থাকে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
অতিরিক্ত তথ্য: